বার্সেলোনার বিপক্ষে নামলেই নিজেদের হারিয়ে ফেলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। গত এক দশকে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ নিয়ে দলটির সমর্থকদের আক্ষেপের সীমা ছিল না।
অবশেষে শনিবার রাতে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটিনোয় সেই আক্ষেপ ঘোচাল ডিয়েগো সিমিওনের দল।এক দশকেরও বেশি সময় পর বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
এই জয়ের আগে কাতালানদের কাছে টানা ২০ ম্যাচ হেরেছিল অ্যাটলেটিকো। শনিবার রাতে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটিনোয় বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের খেলা উপভোগ করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বার্সেলোনার ভাগ্যাকাশে হতাশার মেঘ জমে তৃতীয় মিনিটেই। উসমান ডেম্বেলের ক্রসে শট নিয়েছিলেন আঁতোয়া গ্রিজমান। কিন্তু একটুর জন্য সেটি জালের দেখা পায়নি।
অবশ্য এর ২ মিনিট পর বার্সা শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন অ্যাটলেটিকোর সাউল নিগেস। তার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
১৭ মিনিটে আবারও ব্যর্থ হন গ্রিজমান। লিওনেল মেসির এসিস্টকে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২০তম মিনিটে গিয়ে একই ভুল করেন সার্জিও রবের্তো। মেসির বাড়ানো বলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি তিনি।
এর পরের বার ব্যর্থ হন অধিনায়ক মেসি নিজেই। ৪১তম মিনিটে অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ওকলাককে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি মেসি।
কিন্তু বার্সার সব তারকা খেলোয়াড়ের মতো ব্যর্থ হননি অ্যাটলেটিকোর ইয়ানিক কারাসকো।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে টের স্টেগেন বোকার মতো ভুল করে বসেন। ডি-বক্সে জেরার্ড পিকের দখল থেকে বল হারিয়ে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পোস্ট ছেড়ে ওপরে উঠে এসেছিলেন বার্সা গোলরক্ষক।
সেই সুযোগে বেশ দূরে থেকে দুরন্ত শটে বার্সার ফাঁকা জালে বল পাঠান ইয়ানিক কারাসকো। ১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল শোধে আক্রমণের ধার বাড়ালেও লাভ হয়নি রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের। আর গোলের দেখা পায়নি তারা। আর ওই ১ গোলেই সন্তুষ্ট থেকে এথলেটিকো।
শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির দল। এই হারের পর ৮ ম্যাচে মাত্র ১১ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে বার্সেলোনা। আর বার্সার বিপক্ষে জিতে ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।