ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বালু লুটে বাঁধা দেয়ায় আব্দুল কাদির (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত তিনজনকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বদেশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ তার লোকজন নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।
এদিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সীমান্তবর্তী সাধুর বাজার এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ইরাদ ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হালুয়াঘাটের কংশ নদী খননের বালু রাখার জন্য উপজেলার গাজীপুর গ্রামের প্রায় ৭ একর জমি ভাড়ায় নিয়েছেন স্থানীয় মামুন মিয়া ও তার লোকজন। বুধবার সকালে স্বদেশী ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ লোকজন নিয়ে জোর করে ভেকু ও ট্রাক নিয়ে আসে বালু লুট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। জমির মলিকগণ বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ ও তার লোকজন জমির মালিক আব্দুল কাদির, বোন জামাই শরাফ উদ্দিন, পুত্র দোলন ও ফরিদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে আব্দুল কাদির মারা যায়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের ফাঁসির দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
আহত শরাফ উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান ইরাদ নিজে তার মাথায় বাড়ি দিয়েছে এবং কাদিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইরাদ সাংবাদিকদের জানান, এতে তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, নিহত আব্দুল কাদিরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতরা আশংকামুক্ত আছে।
হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, কংশ নদী খননের পর উত্তোলন করা বালু নিয়ে বিরোধের জেরে চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে সীমান্তবর্তী সাধুর বাজার এলাকা থেকে চেয়ারম্যান ইরাদ ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।