যশোরে বাসের মধ্যে এক তরুণী যাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। একইসাথে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে। এছাড়া এমকে পরিবহনের বাসটি জব্দ করে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে।
নির্যাতিত তরুণী জানান, স্বামীর সাথে তার ৫ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপর মাগুরার শালিখা উপজেলার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। প্রায় একবছর আগে রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে আয়ার চাকরি পান। এরপর থেকে রাজশাহীতে বসবাস করতেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে তিনি বাবার বাড়ি আসার জন্য রাজশাহী থেকে এমকে পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। রাতে যাত্রাকালে তিনি ঘুমিয়ে পড়ায় গন্তব্যস্থল শালিখাতে নামতে পারেনি। পরে কয়েক যুবকের ধস্তাধস্তিতে তার ঘুম ভাঙ্গে।
এরপর ওই যুবকরা একের পর এক তাকে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে বাসের মধ্য থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তদন্তে যতটুকু পেয়েছি শুধু মনিরের কথা পেয়েছি, আর কয়েকজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তারা মূলত সে জায়গায় গিয়ে ঘটনা শনাক্ত করে আমাদেরকে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতিত তরুণী।
নির্যাতিত নারী বলেন, ‘তিনটি লোক আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে আর পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেছে তারপর আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’
এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জাহিদ হাসান হিমেল জানান, নির্যাতিত তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পরই বলা যাবে ওই তরুণীর সাথে কি হয়েছে। তবে বর্তমানে তরুণীর শারীরিক অবস্থা ভালো।
জাহিদ হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা উনার যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দরকার ওটা দেখলাম এবং নমুনা সংগ্রহ করলাম। বর্তমানে আমাদের অবজারবেশনে উনি আছেন। উনার অবস্থা এখন ভালো।’
এদিকে যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, মণিহার বাসটার্মিনাল এলাকার লোকজন মারফত খবর পেয়ে তারা ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।