জেলা-মহানগরীর মতো মেয়াদউত্তীর্ণ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিও। ঢাকা মহানগরীসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি শিগগিরই পুনর্গঠন করবে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, নানা প্রতিকূলতায় পুনর্গঠন কাজের গতি কিছুটা কমলেও জেলা কমিটির পর কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিলও করবেন তারা। তবে, রাজধানীর দুই কমিটি পুনর্গঠনের দিকেই দলের মনযোগ বেশি বলে জানান তারা।

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ হয়েছে বিএনপির ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। তিন বছর মেয়াদী এ কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে দেড় বছরের বেশি আগে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দল পুনর্গঠন শুরু হয়। নেতারা বলছেন, করোনার কারণে ছয় মাসের বেশি সাংগঠনিক কাজ স্থগিত থাকায় পুনর্গঠন কাজ শেষ হয়নি।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,’যে সমস্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, প্রায় সব জায়গায়ই আহ্বায়ক কমিটি হচ্ছে। আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি উঠে আসছে। এখনও সরকারের বাধা বিপত্তি যে নাই তা নয়, এখনও আছে। তার ওপর আবার কভিডের কারণে কিছুটাতো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

বিএনপি নেতারা বলছেন, ঠিক সময়ে কমিটি না হলে নেতৃত্বের মাঝে হতাশা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিবেশ ও বছরব্যাপী করোনা মহামারির বাস্তবতাও বিবেচনায় নেয়া উচিত বলে মত তাদের।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,’পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও, সেই ইউনিট একটিভ। সুতরাং মেয়াদের কথা বলে কমিটিটা ভাঙতে হবে, সেটাও সঠিক না। বর্তমান রাজনৈতিক যে পরিবেশ, অর্থৎ গণতান্ত্রিক চর্চা যেখানে নাই, সেখানে সাংগাঠনিক কাজ ব্যাহত হবেই।’

জেলা কমিটি গোছানো হলেই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করবে বিএনপি। তবে, রাজধানীর দুই কমিটি ঢেলে সাজাতে কাজ বিএনপি কাজ করছে বলেও জানান নেতারা। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন,’খুব শিগগিরই ঢাকা মহানগরীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে এটা সম্পন্ন করার ইচ্ছা আছে।’