বাংলাদেশ চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ও মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবিরের ৮২তম জন্মদিন আজ। তাঁর জন্ম ১৯৩৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি শহরে। তাঁর পিতার নাম আবু সাইয়েদ আহমেদ ও মাতার নাম আমিরুন্নেসা বেগম। পৈত্রিক নিবাস বরিশাল জেলার বানারীপাড়া।
যার হাত ধরে ঢাকাই সিনেমা পেয়েছে বেশকিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র। আজও সেইসব সিনেমা দর্শককে বিনোদিত করে, ছুঁয়ে যায় জীবনের নানামুখী ভাবনায়। বাংলাদেশে অন্যধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের নেতৃত্বদান করা ছাড়াও আলমগীর কবির নেতৃত্ব দিয়েছেন চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে, নেতৃত্ব দিয়েছেন চলচ্চিত্র সমালোচনা ও চলচ্চিত্র গবেষণার মননশীল আন্দোলনেও। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসারে আলমগীর কবিরই প্রথপ্রদর্শক ছিলেন। আলমগীর কবিরকে ঘিরেই শুরু হয় বাংলাদেশেন বিকল্প চলচ্চিত্র আন্দোলনের বাতাবরণ।
ধীরে বহে মেঘনা, সূর্যকন্যা, রূপালী সৈকতে, সীমানা পেরিয়ে চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমাদের কাছে বেশি পরিচিত।
কিন্তু এর আগে তিনি লন্ডনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পত্রিকা সাইট অ্যান্ড সাউন্ড-এর নিয়মিত চিত্রসমালোচক ছিলেন, অংশ নিতেন কান-বার্লিন-ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে, চিত্রসমালোচক হিসেবে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ বলতেই যেমন ফ্রন্টে লড়াই করা সশস্ত্র সৈনিক বোঝায়, ঠিক তেমনভাবে নয়, তাঁর যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধি ছিল তার চেয়ে ব্যাপক। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার আগে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধে, সদস্য হয়েছিলেন আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এফএলএনের।