৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে রিজেন্টের সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া অর্থের মধ্যে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে রিজন্টের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি বাদী হয়ে মামলাটি করে।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করবে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।
এদিকে, ২০১৭ থেকে ১৫ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক সাহেদ। এছাড়া মহামারি চলাকালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি ও করোনার জাল সনদ সরবরাহের মাধ্যমে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সাহেদ।
সিআইডির অনুসন্ধানে অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাহেদের অর্জিত সম্পদের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতারণা ও জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ বেরিয়ে আসে। এছাড়া বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সাহেদ রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কে. সি. এস লিমিটেড ও অন্যান্য অস্তিত্ববিহীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতেন।
আর সাহেদের প্রধান সহযোগী ও রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজ এসব ব্যাংক হিসাব লেনদেনে সহযোগিতা করতেন।
এর আগে, সাহেদের বিদেশে টাকা পাচারের তথ্য পাওয়ার পর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে র্যাব। পরে, অর্থপাচারের বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দেয় র্যাব। সে সময়, সাহেদ যেসব দেশে ভ্রমণ করেছে তার কোনো একটিতে পাচার করেছে বলে ধারণা করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে টাকা পাচারের বিষয়ে কিছুটা তথ্য দিয়েছেন বলেও জানা যায়।
প্রসঙ্গত, নানা অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে জুলাইয়ের ৬ তারিখে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রথমে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালটির মিরপুর শাখাও সিলগালা করে দেয়া হয়। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন সাহেদ। পরে, ১৬ জুলাই ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।