কড়াকড়ি নেই আগের মতো। স্বাস্থ্যবিধি মানায়ও ঢিলেঢালা ভাব। বাধ্যতামূলক হলেও মাস্ক পড়তে অনীহা সাধারণ মানুষের। এ অবস্থায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বেশ কয়েকদিন শনাক্তের হার কম থাকলেও হঠাৎ করে বেড়েছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। উপসর্গ নিয়ে নমুনা দেয়া অধিকাংশেরই পজেটিভ রিপোর্ট আসছে কোভিড-১৯’র। এতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, করোনার ‘হটস্পট’ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় শুরুর দিকে দ্রুত বাড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একে একে আক্রান্ত হন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ ও সাধারণ নারী-শিশু। ক’দিনেই শতক ছাড়িয়ে যায় এ সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা। করোনায় মারা যান বৃদ্ধ ও শিশুসহ দুইজন। এরপর থেকে একাধিক কারণে করোনা পরীক্ষায় মানুষের অনীহা দেখা দিলে ১৭৩ জনে গিয়ে থমকে যায় করোনা রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি হঠাৎ করে বেড়েছে উপসর্গযুক্ত অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন এসব মানুষের জন্যে দোয়া চেয়ে ক্ষুদে বার্তা দিচ্ছেন তাদের শুভাকাঙ্খিরা।
গেল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিলে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হকের। একই দিনে নমুনা দিলেও রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন’র কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে গত শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টায়। ওই দিন করোনা শনাক্ত হয় আরও দু’জনের।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মূসা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সম্প্রতি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬১ জন।