বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আরো এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
লেবাননের রাজধানীর বৈরুতে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মো. জামাল নামে আরো এক বাংলাদেশির মারা গেছেন। বিস্ফোরণের পর ২১ দিন মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার জামালের মৃত্যু হয়। তার মরদেহ মাউন্ট লেবানন হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিহত জামালের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। তার বাবার নাম দুধ মিয়া। তিনি ২০১৮ সালে কোম্পানি ভিসায় লেবানন যান। বিস্ফোরণের সময় সে বৈরুত বন্দর সংলগ্ন ঝিমাইজি এলাকায় একটি পিৎজা শপে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে পিৎজা শপটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে জামাল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মাউন্ট লেবানন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনায় এ নিয়ে ৬ বাংলাদেশি মারা গেলেন। বর্তমানে মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে
গেল ৪ঠা আগস্ট লেবাননের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বৈরুত বন্দরে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুরো বৈরুত শহর কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণে সেন্ট্রাল বৈরুতের আকাশ ধোঁয়ার কুন্ডুলিতে ছেয়ে যায়। অনেক ভবন ধসে যায়।
বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৬ হাজারের অধীক মানুষ আহত হয়েছেন। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মানুষ। ওই বিস্ফোরণে ১০১ জন বাংলাদেশি আহত হন এবং ৬ জন নিহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইউনিফিলের অধীনে লেবাননের জলসীমানায় অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহীনির যুদ্ধজাহাজ বিজয়ের।