সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক- এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক নানা পরামর্শ দিতেন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে। সেই দুঃসময়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন। শেখ হাসিনা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সে কথা স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক উল হক শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় আদ-দ্বীন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক উল হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর।
গত ১৫ অক্টোবর বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতার কারণে ব্যারিস্টার রফিক উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম দিকে তাকে কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু অবস্থা কিছুটা জটিল হওয়ায় তাকে হাই ডিপেনডেন্সি কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২০ অক্টোবর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে দেয়া হয়। ওই সময় তার ব্লাড প্রেশার ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যায়। এতে তিনি শকে চলে যান।