রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বরাবরই সিটি করপোরেশনের কাজে পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা জোর গলায় অস্বীকার করেন। তবে জেলার উন্নয়ন ফোরামের দাবি, তার ভাই আনিসুর রহমানই নিয়ন্ত্রণ করেন সিটি করপোরেশনের সব টেন্ডার। শুধু তাই নয়, টেন্ডারের সময় তার বিরুদ্ধে এক কাউন্সিলরকে মারপিটের অভিযোগও করেছেন কাউন্সিলররা। এদিকে একটি রাস্তার কাজে আদালত অবমাননারও অভিযোগ পাওয়া গেছে মেয়রের বিরুদ্ধে।
একটি টেন্ডারের শিডিউল ড্রপ করতে গিয়ে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার ভাই আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল আবেদীন রতন। চলতি বছরের ৪ জুন এই ঘটনা ঘটে খোদ নগর ভবনেই। এর প্রতিবাদে সকল কাউন্সিলর তাৎক্ষণিকভাবে নগর ভবনের প্রধান ফটকে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান গ্রহণ করে বিচারও দাবি করেন।
রংপুর সিটি করপোরেশের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল আবেদীন রতন বলেন, মেয়রের ভাই আনিস সিটি কর্পোরেশনের সকল টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের আওয়ামী কাউন্সিলর পরিষদ আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসললাম বলেন, আমাদের ১২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন ভাইয়ের চড়াও হয়েছে। এবং তার লোকজনকে মারধর করেছে।
রংপুর উন্নয়ন ফোরামের দাবি, ভাই আনিসুর রহমানকে দিয়ে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করছেন মেয়র।
রংপুর মহানগর উন্নয়ন ফোরাম প্রধান উপদেষ্টা তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, উনার (মেয়র আনিস) ভাই সিটি কর্পোরেশনের সমস্ত টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ১২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতনের সঙ্গে বিবাধে জড়িয়ে পড়ে। এবং মারধরের ঘটনা ঘটে।
এদিকে নগরীর আরশতপুর এলাকায় একটি চারতলা ভবনের বাসিন্দাদের জন্য ১৬ লাখ টাকার কাজের ঠিকাদারিও পেয়েছেন এই ভবনেরই মালিক এমাদ মিয়া। ব্যক্তি মালিকানা জমির ওপর রাস্তা করা হচ্ছে, প্রতিবেশি আলতাব হোসেনের এমন অভিযোগে সিনিয়র জজ আদালত কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু মেয়রের পাল্টা নির্দেশে কাজ করতে গিয়ে বেধেছে বিপত্তি।
আদালত ও মেয়রের মধ্যে এটি সাংঘর্ষিক বিষয় দাবি করে মন্তব্য করতে রাজি হননি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। আর মেয়র বলছেন, আদালত অবমাননা করেননি তিনি।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, যদি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয় না থাকে তাহলে কাজটি করতে কোন সমস্যা নেই।
সম্প্রতি সময় সংবাদের অনুসন্ধানে সিটি করপোরেশনে ইক্যুপমেন্টের ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, লোকবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম, স্ট্রিট লাইট প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ হয়।