দ্বিপক্ষীয় এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বন্ধ হওয়া বিমান যোগাযোগ আবার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন। এই চুক্তি হলে নির্দিষ্ট শর্তে সমানসংখ্যক যাত্রী দুই দেশে বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে যাত্রীরা ভারত বা বাংলাদেশ হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে যেতে পারবেন না। কুটনৈতিকদের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়ী ও রোগী এই দুই ক্যাটাগরির যাত্রী ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
গেল ১৬ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে ১২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমায় এখনও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্বাভাবিক বিমান যোগাযোগ শুরু হয়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের ৮টি দেশের সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় এয়ার বাবল চুক্তি করে বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশের সঙ্গেও আকাশপথে বন্ধ দ্বার খুলতে চায় দেশটি। কাজ শুরু করেছে দুই দেশের সিভিল এভিয়েশনও।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, এয়ার বাবল ব্যবস্থা চালুর জন্য কাজ চলছে। এ ব্যবস্থায় যে যাত্রী বাংলাদেশে আসবেন তিনি শুধু বাংলাদেশেই থাকবেন। আর যিনি ভারতে যাবেন তিনি শুধু ভারতেই থাকবেন।
ভারতে ফ্লাইট চালাতে প্রস্তুত দেশি বিমান সংস্থাগুলো। এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন জানান, ভারত সরকার সম্মতি দিলে ভারতের গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এয়ারক্রাফটের সমস্যা নেই।
বর্তমানে বিমান যোগাযোগ সীমিত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তি হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে মনে করেন এখাতের বিশ্লেষকরা। তবে, বর্তমানে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে চুক্তি করার পরামর্শ তাদের।
কাজী ওয়াহিদুল আলম জানান, যত বেশি সংখ্যক দেশের সঙ্গে এ ধরনেরে এয়ার বাবল ট্রাভেল চুক্তি করা যাবে ততো বেশি যাত্রী পরিবহন ও কার্গো পরিবহনের একটা সুযোগ তৈরি হবে।
প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসায়িক কাজ ও ভ্রমণে ভারতে যান। আর বাংলাদেশে আসেন প্রায় ৫ লাখ ভারতীয়।