ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে। ২৫ নভেম্বর বুধবার কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ওই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন তিনি।
মামলার ছয় আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)। এর মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ও নাজমুল হুদা কারাগারে আছেন।
মামলায় ছয়জনকে পৃথক পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গড়ে উঠা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।