মতের অমিল হলেই টর্চার সেলে এনে চালানো হতো নির্যাতন। পুরান ঢাকার চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য গড়ে তুলেছিলেন নেটওয়ার্ক। এমপিপুত্র ইরফানকে গ্রেফতারের একদিন পর এসব তথ্য দিয়েছে র্যাব। এদিকে, অস্ত্র ও মাদক আইনে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
নৌ বাহিনী কর্মকর্তাকে মারধরের মামলার জেরে চালানো অভিযানে বেরিয়ে আসছে ইরফান সেলিমের নানা অপরাধ সংশ্লিষ্টতা। তার বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক,ওয়াকি টকিসহ নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধারের ঘটনা জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
র্যাব বলছে, এসবের ব্যবহার হতো পুরান ঢাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে।
আলোচনা চলছে এমপিপুত্র ইরফানের টর্চার সেল নিয়েও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব জানায়, মতের অমিল হলেই করা হতো নির্যাতন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এই টর্চার সেলে যারা তার মতের বিরুদ্ধে যেত তাদেরকে এনে নির্যাতন করা হত বলে বিভিন্ন উৎস থেকে র্যাব জানতে পেরেছে। মূলত এলাকার চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি এসব করতেন।
এদিকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করে তারা।