টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নারীর কলাবাগান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গারো নৃগোষ্ঠীর বিক্ষুব্ধ লোকজন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতারা জানান, মধুপুর গড় এলাকার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারি গ্রামে বাসন্তী রেমা প্রায় ৫০ শতাংশ জমি বংশ পরস্পরায় চাষ বাস করে আসছেন। এ বছর তিনি ওই জমিতে কলার চাষ করেছেন। বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করে সেখানে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেয়। সোমবার বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই জমিতে গিয়ে বাসন্তী রেমার লাগানো কলা গাছ সব কেটে ফেলে। এসময় বাসন্তী রেমা বাধা দিতে এলেও বন কর্মকর্তারা মানেননি।
এ খবর শুনে পেগামারি ও আশেপাশের গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন ওই জমিতে সমবেত হয়। তারা কলা গাছ কাটার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে দুপুরে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জ অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) এর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন যেত্রা জানান, বংশপরম্পরায় মধুপুর বনের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা এসব জমি চাষবাস করে আসছেন। কাগজপত্র না থাকলেও এ জমির উপর তাদের ঐতিহ্যগত অধিকার রয়েছে। তাই এভাবে ফসলি জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো অমানবিক। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত বন কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।
টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামাল তালুকদার জানান, ওই জমি বন বিভাগের মালিকানাধীন। সামাজিক বনায়ন করার জন্য সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।