নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসির বিস্ফোরণে এক শিশুসহ মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১ শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার, শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটের এক চিকিৎসক এ তথ্য দেন। এছাড়াও দগ্ধ আরও ২৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
এঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন: কুদ্দুছ ব্যাপারী (৭২), সাব্বির (২২), দেলওয়ার (৪৫), জুয়েল (৭), জামাল (৪০) , জুবায়ের (১৮), হুমায়ুন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম (৪৩), রিফাত (১৮), জুনায়েদ (১৭)।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করার সময় হঠাৎই মসজিদের ৬টি এসির বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মসজিদের চারপাশে। এতে দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনসহ অর্ধ শতাধিক। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। প্রাথমিকভাবে এসি বিস্ফোরণে আগুন লাগার ধারণা করা হলেও, গ্যাসের লিকেজ থেকেও এই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস । তারা জানিয়েছে, আগুন নেভানোর সময় জমে থাকা পানিতে বুদবুদ দেখা যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
গুরুতর দগ্ধদের পাঠানো হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। তাদের সবার অবস্থাই সংকটাপন্ন। প্রত্যেকের শরীরের ৫০ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এদিকে, এ দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দীন। আর তিনি বলেছেন, যে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।