কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা আব্দুল আলীর ছেলে মাহবুব আলম মাসুদ (৪৫) ৩৭ লাখ টাকার মাছ কিনে টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বালিখোলা পাইকারি মাছের বাজারে ৪০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকার মাছ কিনে ঢাকায় পাঠান মাসুদ। পরে ব্যবসায়ীদের টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আড়ৎ মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা বাজারে চেয়ারম্যানের মাছের আড়ৎটি ছেলে মাহবুব আলম পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি এখন ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
আড়ৎ মালিকরা জানান, মাহবুবুল আলম গত সপ্তাহে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মাছ কিনেন। গত ১ ডিসেম্বর মাছ কেনার বকেয়া টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু এদিন টাকা পরিশোধ না করে আড়ৎ বন্ধ করে পালিয়ে যায় সে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অভিযুক্ত মাহবুব আলম মাসুদকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে তার কোনো হদিস মিলছে না।
বালিখোলা বাজার মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া জানান, বিএনপির দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মদদেই তার ছেলে ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। বাজারের আড়ৎটি তার নামে। তাই বাবা হিসেবে চেয়ারম্যান এর দায় এড়াতে পারেন না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাহবুব আলম মাসুদের বাবা ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী জানান, ছেলের কাছে তিনি নিজেও টাকা পাবেন। পাওনা টাকা আদায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আড়ৎ মালিক নিপেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম জানান, মামলার এজাহার পেয়েছি। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া মাহবুবকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।