প্রয়াত পাইলট মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে নয়ই নভেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার সকালে, এ আদেশ দেন বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে তাদের বাড়ির দলিলপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর এর মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল তাদের বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পাইলট ছিলেন। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেন, ১৯৮৪ সালে তার বাবা-মা গুলশানের ওই বাসায় সংসার শুরু করেছিলেন। দুই বোনের জন্মও এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামের এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন তাদের বাবা। আঞ্জু কাপুর এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন।
সম্প্রতি দুই বোন অভিযোগ করেন যে, তাদের বাবার বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দ্বিতীয় স্ত্রী ভারতীয় নাগরিক আঞ্জু কাপুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬শে অক্টোবর সন্ধ্যায়, দুই বোনকে তাদের বাবার বাড়িতে তুলে দিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।