চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে খুলনা বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা আইন-২০২০’র খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনা অঞ্চলের মধ্যে যত মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট থাকবে সবই এই খুলনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় চলে আসবে।
জানা গেছে, খসড়া আইনটিতে মোট ৫৫টি ধারা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, এখতিয়ার, ক্ষমতার বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে। পরিদর্শন ও আর্থিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা আইনটিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি ও শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন এবং এদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে থাকবেন রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া, মন্ত্রিসভা বৈঠকে চিকিৎসা ডিগ্রি ‘দ্যা মেডিকেল ডিগ্রি রহিতকরণ আইন-২০২০’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সচিব বলেন, মেডিকেল কলেজের ডিগ্রি ও মান সবকিছু নির্ধারিত হতো ‘দ্যা মেডিকেল ডিগ্রি অ্যাক্ট ১৯১৬ এর মাধ্যমে। পরে ২০১০ সালে বিএমডিসি বা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ করা হয়। ১৯১৬ সালের আইনের যত প্রভিশন ও মেডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল সব ২০১০ এর আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দ্যা মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট ১৯১৬ এর কার্যকারিতা নেই। সেজন্য চিকিৎসা বিভাগ রহিত করার প্রস্তাব করেছে।’
এছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন-২০২০ সহ আরও দুটি অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।