শুধু বাড়ি-গাড়িতেই থেমে নেই, গাড়িচালক আব্দুল মালেকের অপকর্ম। ভাই, মেয়ের জামাইসহ ২৭ জন আত্মীয়কে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার অভিযোগও উঠেছে, তার বিরুদ্ধে। তবে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
আব্দুল খালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক। গতকাল পর্যন্ত তার এই পরিচয় সাধারণ থাকলেও ভাই আব্দুল মালেক র্যাবের হাতে আটকের পর, গণমাধ্যমকে এড়ানোর চেষ্টা তার।
তবে শেষ পর্যন্ত কথা বললেন, গাইলেন ভাইয়ের পক্ষে সাফাই। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের একই মন্ত্রণালয়ে কর্ম।
তাও আবার সাধারণ কোন ব্যক্তির নন, করোনাকালে আলোচিত চরিত্র, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের চালক। জেকেজি, সাবরিনা ও সাহেদ কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়ে যিনি এখন নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন, দুদকের চৌকিতে।
র্যাবের অভিযানে, সন্ধান মিললো আজাদের গাড়ি চালক আব্দুল মালেকের সম্পদের পাহাড়। রাজধানীতে দুই ডজন ফ্ল্যাটের মধ্যে রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডিসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আছে ১০ ও ৭ তলার দুটি বাড়ী। পাশাপাশি ছেলের নামে তুরাগ তীরে কোটি টাকার গরুর খামার।
শনিবার রাতে র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন আব্দুল মালেক। র্যাব জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৭ জন আত্মীয়কে বিভিন্ন পদে চাকরিও দিয়েছেন। সাথে নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বাস্থ্যের গাড়ির বাণিজ্যও।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক কর্মচারী আবজালেরও বিপুল সম্পদের হদিস পায় দুদক। বর্তমানে কারাগারে আছে আবজল।