মোংলায় দাদার বাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে গলায় গামছা প্যাঁচানো মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ বছর বয়সি এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আব্দুল্লাহর বাবার নাম তাছিরুল শেখ। আব্দুল্লাহ উত্তর বাশতলা কেরাতুল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করত।
সোমবার রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশের প্রাথমিক সুরতহালে আত্মহত্যার নমুনা না মেলায় শিশুটি আত্মহত্যা করেছে না কি মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বা অন্য কোন কারণ রয়েছে এ নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা দাবি করা হলেও মূলত চিকিৎসক ও পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে আত্মহত্যার কোন নমুনা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
মোংলা থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলার রুচোমারী গ্রামে দাদা-দাদীর সাথে থাকত শিশু আব্দুল্লাহ শেখ। তার মা-বাবা কর্মের সন্ধানে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। ছোট বেলা থেকেই আব্দুল্লাহ শেখ দাদা-দাদীর কাছে থাকেন। একই বাড়িতে বসবাস করেন আব্দুল্লাহের চাচী কুলসুম বেগম ও তার শিশু সন্তান।
সোমবার রাতে আব্দুল্লাহের দাদা বসত ঘরের আড়ার সাথে তাকে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে নিচে নামিয়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এসময় স্থানীয়রা দ্রুত আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মৌসুমী মৌ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে প্রতিবেশীরা আব্দুল্লার মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও ঘরে থাকা দাদা-দাদী ও চাচী কেউই সাথে যাননি বলে জানা গেছে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহানা বলেন, হাসপাতালে রাতে আব্দুল্লাহকে মৃত্য অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরে আত্মহত্যার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে ময়নাতদন্ত করলেই সব কিছু জানা যাবে।
মোংলা থানার থানার এস আই লিটন মণ্ডল জানান, আব্দুল্লাহর সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। গলায় সামান্য কালো দাগ থাকলেও তার আত্মহত্যার কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। তাই এটি আত্মহত্যা না কি অন্য কোন কারণ আছে, সঠিক বিষয়টি জানার জন্য ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিৎ হওয়া যাবে। তাই ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে মরদেহ।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আমাদের সন্দেহ হওয়ায় গলায় ফাঁস লাগানো শিশুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যর মূল ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।