মোংলা উপকূলে অসহায় দুস্থ মানুষের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা দিতে নতুন যাত্রা শুরু করছে ভাসমান হাসপাতাল ‘জীবন খেয়া’। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এ ভাসমান হাসপাতাল।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে নোঙ্গর করে বানিয়াশান্তা ইউনিয়নের যৌনপল্লীসহ এ অঞ্চলের গরিব জনগোষ্ঠীকে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ বিতারণ শুরু করেছে এ হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি চিকিৎসকসহ সবাই এক মাসব্যাপী এ অঞ্চলের মানুষের সেবায় কাজ করে যাবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় ৯ জেলার ২০টি উপজেলায় বিন্যামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ভাসমান এ হাসপাতালটি।
আঁকাবাঁকা দুর্গম নদীপথ পাড়ি দিয়ে দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পৌঁছে দেবেন তারা।
ভাসমান এ হাসপাতালটি সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে এসে পৌঁছালে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করার লক্ষে এ কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ভাসমান এ হাসপাতালে চক্ষু ও ডেন্টিসসহ বিভিন্ন ইউনিটে ৮ জন মেডিকেল অফিসার, সেবিকাসহ অর্ধশতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কর্মী রয়েছেন।
‘জীবন খেয়া’ নামে এ হাসপাতালটি বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি ঘোল গ্রামে জেলে পরিবার ও দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিবে। এছাড়া মোংলা অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শেষে পাশের উপজেলা মোরেলগঞ্জে রওনা হবে।
জীবন খেয়া ভাসমান হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার, ডা. পিযুষ রায় বলেন, উপকূল অঞ্চলে যে ছিন্নমুল মানুষগুলো রয়েছে তারা ঠিকমত শরীরের দেখভাল ও টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেন না। এসব অসহায় গরীব ও দুস্থ মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে।
বন্যাকবলীত এলাকার অসহায় মানুষদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য এখানে সার্বিক সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, ভাসমান এ হাসাপাতালে আমরা সকল রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিবো। তবে সর্বোপরি অগ্রাধিকার থাকবে শিশু ও বৃদ্ধদের। সমাজে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষগুলো অবহেলিত থাকে বেশি।
ভাসমান হাসপাতালে ২০টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, আজ থেকে শুরু করে আগামী দুই মাস আমাদের এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা।