মিথ্যা ঘোষণায় মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা প্রায় ১৮ কোটি টাকা মূল্যের পোস্তদানা আটকের ঘটনায় শিপিং এজেন্টসহ দুই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে (১৬ আগস্ট) কাস্টমস’র সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক বাদী হয়ে মোংলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) মোংলা বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৪ কন্টেইনার পোস্তদানা জব্দ করে কাস্টমস।
মোংলা বন্দরের কাস্টমস হাউজ’র করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কন্টেইনারবাহী একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি সানভিওর ভিউ’ মালোয়শিয়ার তানজান পিলিপাস বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। সিঙ্গাপুরে যাত্রা বিরতির পর জাহাজটি গত ৯ আগস্ট মোংলা বন্দরের জেটিতে কন্টোইনার খালাস শেষে চলেও যায়। জাহাজটি বন্দরে নোঙ্গরের আগেই কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ও মদের চালান আসছে। এই খবরের ভিত্তিতে জেটিতে পণ্য খালাসের পরপরই ওই ৪টি কন্টেইনার শনাক্ত ও নজরদারিতে রাখা হয়। ১২ আগস্ট আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠির মাধ্যমে কন্টেইনার ৪টি খুলে পরীক্ষার করার জন্য জানানো হয়। কিন্তু চিঠি পাওয়ার পরেও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এতে কোনো কর্ণপাত না করায় বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, সিএন্ডএফ এজেন্ট, চেম্বার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সামনে বন্দর জেটিতে কন্টেইনার খুলে ২ হাজার ৬৬৯টি বস্তায় ৬৮ হাজার ২৬৫ কেজি পোস্তদানা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৮ কোটি টাকা বলে জানায় কাস্টমসের কর্মকর্তারা। আমদানিকারকরা তাদের কাগজপত্রে টেনিসবল ও পার্টি স্প্রে’র চালানের কথা উল্লেখ করলেও অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পোস্তদানা আমদানি করেছেন তারা।
ওই ঘটনাতেই রোববার দুপুরে মোংলা কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক বাদী হয়ে কন্টেইনার বোঝাই পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মেসার্স তাজ ট্রডার্স ও চকবাজারের চম্পাতলি লেনের ০৬/১০ এর মেসার্স আয়শা ট্রেডার্স এবং শিপিং এজেন্ট মেসার্স ওসান ট্রেডার্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-(বি)-১ (বি) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তদন্তসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।