মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে সব রকম সহায়তা করবে সরকার- এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে এ কথা জানান শিল্প সচিব। সেমিনারে সরকারের নীতিমালা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা তদারকির দাবি জানান উদ্যোক্তারা। মোটরসাইকেল শিল্প বিকাশে সহায়ক শিল্পের বিকাশ ও গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন আলোচকরা।
পোশাকের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় একটি খাত হালকা প্রকৌশল শিল্প। এই শিল্পখাতের ৮ লাখ মানুষের কারিগরি দক্ষতার ওপর ভর করে মোটরসাইকেল শিল্পের মত ভারি শিল্প কারখানা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস যোগাচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জোরেশোরে কাজ শুরু করছে মোটরসাইকেল উৎপাদনে। সম্ভাবনা থাকলেও এখনো মোটরসাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।
তাই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অনলাইন সেমিনারে আলোচকরা বলছেন, প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও হালকা প্রকৌশল শিল্পের দক্ষতা সমন্বয় করে সহায়ক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে হবে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, অর্থ সহায়তা, নীতি সহায়তা প্রয়োজন। শিল্প গড়ে তোলার আগেই রাজস্ব আদায়ের চাপ যেন নাভিশ্বাস হয়ে না ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মোটরসাইকেল খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা নীতি নির্ধারকদের। এক গবেষণা বলছে, মোটরসাইকেলের স্থানীয় বাজার আছে ২১শ’ কোটি টাকার । রফতানি সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে এই অংক বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।