মোবাইলে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফাঁস দিল স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। বুধবার রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর আবাসিক এলাকায়।
মৃত গৃহবধূর নাম লাভলি বেগম। তার স্বজনদের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামের হাসু মোল্লার মেয়ে লাভলি বেগমের সঙ্গে প্রায় সাত বছর আগে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার মজিবর সরদারের সৌদি প্রবাসি ছেলে আজাদ সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল লাভলির। এরই জেরেই বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময় লাভলি বেগম সৌদি প্রবাসী স্বামী আজাদের সঙ্গে মোবাইলে কথাকাটাটির একপর্যায়ে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে গৃহবধূ লাভলী বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১১টার দিকে সে মারা যায়।
লাভলি বেগমের ভাই রাসেল মোল্লা বলেন, আমার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
লাভলির শ্বশুর মজিবর সরদার তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সৌদি প্রবাসি আমার ছেলে আজাদের সঙ্গে মোবাইলে কথা কাটাকাটির পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টার খবর পেয়ে আমি বউকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী জানান, এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।