মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায় সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানের বাসায় বামপন্থি নেতা- কর্মীদের মদ ও গাজার আসরে বামপন্থি নারী নেত্রীকে মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয় নিয়ে ধর্ষণকারী বামপন্থি সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুল ইসলাম তুষার (সজিব তুষার) তার ফেইসবুক টাইমলাইনে সারারাত মদ্যপান ও গাজা সেবন এবং শারীরিক সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে স্ট্যাটাস দেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩ আগষ্ট রাতে সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানের ভাড়া করা বাসায়।
মদ ও গাজার আড্ডা ও ধর্ষণের বিষয় উল্লেখ করে ৭ আগষ্ট মাহমুদ এইচ খান তার ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, বামপন্থি নেতা সজিব তুষার ও রায়হান আনসারী পরিকল্পিত ভাবে নিজেরা মদ্যপান করে প্রথমে নারী বন্ধুকে ধর্ষণ চেষ্টা করে তাতে সে বাধা প্রদান করে কিন্তু শ্রমিক ফ্রন্টের সংগটক রায়হান আনসারী ও নারী অধিকার কর্মী মারজিয়া প্রভা বিষয়টি ধর্ষণ নয় বরং স্বাভাবিক ঘটনা মর্মে মাহমুদ এইচ খানকে বলেন। এ বিষয় নিয়ে তাদের মনমালিন্য হয়।
রাতে মেয়েটিসহ সবাই মদ্যপান ও গাজা সেবন করে। একপর্যায়ে সজিব তুষার মেয়েটিকে সারারাত ধর্ষণ করেন এমনটা বলে সজিব তুষারও নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দেন।
মাহমুদ এইচ খানও নিজ ফেইসবুক পেইজ থেকে ধর্ষণকারী নিজ বন্ধু সজিবুল ইসলাম তুষার ও তাদের সহযোগী রায়হান আনসারীর এবং মারজিয়া প্রভার শাস্তি দাবি করেন।
তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সজিব তুষার, রায়হান আনসারী ও মারজিয়া প্রভা এবং সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানের শাস্তির দাবি ও তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয় নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা পক্ষে বিপক্ষে ফেইসবুক পোস্ট করছেন।
এবিষয়ে একের পর এক উক্ত বিষয় ছাড়া ব্যক্তিগত বিষয় টেনে এনে ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ও জড়িতদের সনাক্তে ধুম্রজালের সৃষ্টি এবং সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয় জড়িয়ে জেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সচেতন নাগরিকরা মনে করেন।
উল্লেখ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট থেকে সজিবুল ইসলাম তুষারকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া সজিব তুষার ও রায়হান আনসারীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মাহ%E