বগুড়ায় যুবলীগ নেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে। যদিও হুমকি দেয়ার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও। বলেন, যদি তিনি অপরাধ করেন তবেই সাজা পাবেন।
মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রলাণালয়ে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগটি করেন শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও বগুড়া-৭ আসনের (শাজাহানপুর-গাবতলী) সাংসদের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ইউএনও মাহমুদা পারভীনকে ফোন করেন। তিনি ইউএনওর কাছে বিজয় দিবসের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চান।
তখন ইউএনও তাকে বলেন, ‘আপনি যুবলীগের নজরুল না? আপনি আমাকে কেন ফোন দিয়েছেন? আপনি আমাকে ফোন দিবেন না। আমি আপনাকে খুঁজতেছি! পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিয়ে দিব।’
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি টিআর প্রকল্পের অর্থ ছাড় না করায় ইউএনও মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানানো হয়। ইউএনও মাহমুদা পারভীনের ধারণা এ মানববন্ধনের ইন্ধনদাতা ছিলেন যুবলীগ নেতা নজরুল।
কিন্তু এসবের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। তখন থেকেই ইউএনও মাহমুদা পারভীন যুবলীগ নেতা নজরুলকে ব্যক্তিগত শত্রু ভাবতে শুরু করেন।
ইউএনও মাহমুদা পারভীন বলেন, ‘যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামকে হুমকি দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার মতো যদি কোনো অপরাধ তিনি করেন, তাহলে সাজা দেয়া হবে। অপরাধ না পেলে তাকে কীভাবে সাজা দিব? নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে আমি তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার কথা বলেছি, সেটা তিনি প্রমাণ করুক।’
#নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম