রাঙামাটি ছাত্রলীগের চার নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসরিন ইসলাম।
শনিবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন এই জনপ্রতিনিধি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জেলা ছাত্রলীগের চার নেতা মেজবাহ উদ্দিন, হাবিবুর রহমান বাপ্পী, কায়সার আহম্মেদ ও ইমরুল উদ্দিনসহ ১০-১৫ জন মিলে আমাকে দরজার ভেতরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে ছুরি, রড দিয়ে আঘাত করে। এমনকি নাবালিকা মেয়েকে নির্যাতন করে কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের টিউবওয়েল বসানো নিয়ে বাসায় এক সভা চলাকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর জব্বার সুজনের ছত্রছায়ায় লালিত ছাত্রলীগের এই চার নেতা হামলা করে। এসময় বাসার ভেতর ভাঙচুরসহ আমার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা চালায়। এদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন আমার বিল্ডিংয়েই ভাড়া থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভাড়া দেন না। ভাড়া খুঁজলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়নি অভিযোগটি।
তিনি আরও বলেন, নিজে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আওয়ামী লীগের সমর্থনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু ছাত্রলীগের এসব কতিপয় সন্ত্রাসীদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসরিন ইসলাম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বলেন, এটি একটি এলাকার ঘটনা, সেখানে ছাত্রলীগকে টেনে আনা হয়েছে, আমি এর নিন্দা জানাই। তার বাসায় অসামাজিক কাজ হচ্ছে; এলাকাবাসী এমন অভিযোগ করায় আমার কর্মীরা সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, এক সময় ছাত্রদল নেত্রী ছিলেন। এখন দলে এসে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা করছেন।