রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে কোভিড রোগী। কোভিড নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রয়েছে সক্ষমতার বেশি রোগী। আইসিইউ খালি নেই বেশিরভাগেই। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টরা বিকল্প প্রস্তুতি নেয়ার কথা বললেও তা পরিকল্পনাতেই আটকে আছে।
সারাদেশে করোনা কড়াকড়ি কমেছে অনেকটাই। সাধারণ মানুষের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় ঢিলেঢালা ভাব। এরই মধ্যে রাজধানীর কোভিড নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলোয় ফের বাড়তে শুরু করেছে রোগীর চাপ। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল দিন কয়েক আগেই বাড়াতে হয়েছে আইসোলেশন শয্যা।
একজন বলেন, করোনার রোগী বাড়তে শুরু করেছে, আগের থেকে ভালোই রোগী আসছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহখানেক আগেও কোভিড রোগীর সংখ্যা ১৭০ থেকে ১৮০ এর মধ্যে থাকলেও বর্তমানে ২১০ শয্যায় রোগী রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে গড়ে ৫শর বেশি রোগী থাকলেও সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সে সংখ্যা ৬৩০ ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে আইসিইউ ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল, মুগদা হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্নে খালি নেই আইসিইউ। কুয়েত মৈত্রী, শেখ রাসেল গ্যাস্টোলিভার, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ফাঁকা আছে একটি করে।
এ পরিস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। তবে বিকল্প প্রস্তুতির পরিকল্পনাও জানালেন কেউ কেউ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়েরর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আমরা সেকেন্ড থট দিতে পারি। যে ফিভার ক্লিনিকে যাওয়ার প্রয়োজন হবে কি না। তবে সেটা করতে গেলে তো অনেক আর্থিক সংশ্লিষ্টতার বিষয় চলে আসবে। কারণ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থা করা। তারপরে জনবলের ব্যবস্থা করা।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতায় ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।