ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় কার্ণিশে ঝুলন্ত সেই যুবককে গুলির ঘটনায় পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাশেদ, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মশিউর ও এসআই তরিকুল।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে রাজধানীর রামপুরায় গণহত্যা ও ভবনের কার্নিশে ঝুলন্ত এক যুবককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান কৌঁসুলি (চিফ প্রসিকিউটর) তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রামপুরার গণহত্যার ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে আফতাবনগরের একটি হোটেলে কর্মরত আমির হোসেন (১৮) কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ দেখতে পান। রাস্তার দুই পাশে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের দেখে আতঙ্কিত হয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে উঠে যান। পুলিশ তার পিছু ধাওয়া করে।
এরপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আমির মরিয়া হয়ে ভবনের চতুর্থ তলার কার্নিশের একটি রড আঁকড়ে ধরে ঝুলে আছেন। অথচ তখনও পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।