সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৬) জোরপূর্বক বাড়িতে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মিরজু মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলা করেছেন।
আদালত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মামলা গ্রহণ করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও গ্রামের সুনু মিয়ার ছেলে মিরজু মিয়া গত ২৪ অক্টোবর কিশোরীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে তার বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বখাটে মিরজু মিয়া। বিষয়টি আমি তার বড় ভাই ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করলেও বখাটে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় গ্রামের ভেতর দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে আমার মেয়েকে মুখে কাপড় বেঁধে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। বিষয়টি আমি জানার পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে আমি আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করি।
একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বজলুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ওই যুবক এলাকায় খারাপ চরিত্রের হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এসব অভিযোগে ১২ বছর জেল খেটেছে।
জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক সাফায়েত বলেন, ঘটনাটি জানার পর তদন্ত শুরু করি। এলাকাবাসীও অভিযুক্ত যুবককে খারাপ বলে জানে। অভিযোগকারীরা থানায় এজাহার না দিয়ে আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে শুনেছি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতের আদেশ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।