প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ঠেকানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জনমতকে ভিন্ন খাতে নিতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে, মিয়ানমারের ইন্ধনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতার অভিযোগও আছে নাইপিদোর বিরুদ্ধে। এরই অংশ হিসেবেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, গোলাগুলি ও সংঘর্ষ চলছে। চার দিনে মারা গেছেন অন্তত সাতজন। রোহিঙ্গাদের লাগাতার সংঘর্ষ এবং প্রাণহানিতে শঙ্কিত স্থানীয়রাও।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ রোহিঙ্গার মধ্যে কিছুদিন ধরে চলছে গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও খুন।
মঙ্গলবারও কুতুপালং ক্যাম্প-১-এ দুই গ্রুপ রোহিঙ্গার মধ্যে সংঘর্ষে মারা যায় চারজন। এতে পুরো ক্যাম্পে বিরাজ করছে উত্তেজনা। এতে শঙ্কিত স্থানীয়রা।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান বলেন, গত এক মাস ধরে ক্যাম্পে গোলাগুলির বিষয়টা আমাদের জন্য উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এ ধরনের ঘটনা কামনা করি না। কিন্তু তারা দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে বাধাগ্রস্ত করতে মিয়ানমার এই ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সংগ্রাম পরিষদের নেতার। এ ছাড়া ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরিতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
উখিয়া অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারই রোহিঙ্গাদের উসকে দিচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যে প্রক্রিয়াটি আছে সেটিকে বিলম্বিত করার জন্য।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সংগ্রাম পরিষদ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধানের সঙ্গে সঙ্গে ওখানে যাতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জন্ম নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানালেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরাধ ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলারোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গত চার দিনে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে নিহত ৭ রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার র্যাব ধাওয়া করে টেকনাফ পাহাড় থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ৯ রোহিঙ্গা ডাকাতকে আটক করে।