আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। কয়েকদিনের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় অনেকই ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এই সংঘর্ষ ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আছে স্থানীয়রা। আর এটিকে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন অনেকে। এ অবস্থায় ক্যাম্পে যৌথ বাহিনী টহলসহ নজরদারি জোরদারের কথা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বেশ কিছু দিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাদের দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটছে। সবশেষ ৪ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লম্বাশিয়া ১ নম্বর ক্যাম্পে মুন্না বাহিনী ও আনাস বাহিনীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার পর, বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি। এ সময় ক্যাম্পে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান তিনি। এরপর সন্ধ্যায় ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। নিহত হয় আরও একজন।
এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের সংঘাত ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা। এ সব ঘটনাকে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন অনেকে।
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প এলাকার দোকান থেকে চাঁদা আদায়, মাদক ও মানব পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান, ডাকাতি ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ। এ নিয়ে পুরাতন ও নতুন রোহিঙ্গাদের নিয়ে গঠিত সন্ত্রাসী গ্রুপ মুন্না বাহিনী ও আনাস বাহিনীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে আসছে। এ সব ঘটনায় দলের সদস্য ছাড়াও প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণরাও। এ অবস্থায় আতঙ্কে অনেকেই ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।