শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান উপজেলা প্রশাসনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ২২ নভেম্বর রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের অফিসে গিয়ে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নতুন ওসি মুশফিকুর রহমান। সাক্ষাৎ কালে নতুন ওসি মুশফিকুর রহমানকে ফুলদিয়ে বরণ করেনেন ইউএনও জাহিদুর রহমান।

এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদসহ নকলা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন ওসি সদ্যবিদায়ী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহ এর স্থলাভিষিক্ত হন। মো. মুশফিকুর রহমান নকলা থানায় ওসি হিসেবে যোগদানের আগে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মো. মুশফিকুর রহমান ২০০৫ সালে পুলিশ বিভাগের এস.আই হিসেবে প্রথম কর্ম জীবন শুরু করেন। চাকরি জীবনের শুরুতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ থানায় তিনি এস.আই হিসেবে নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। এস.আই মুশফিকুর রহমান ২০১৭ সালে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান এবং অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. মুশফিকুর রহমান নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার সমভ্রান্ত এক মোসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি মদন উপজেলাধীন ৭ নং নায়েকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের মধ্যে সবার বড় সন্তান। ছোট বেলা থেকেই তিনি সাংস্কৃতিকে ভালোবেসে আসছেন। কাগজপত্রে তাঁর নাম মো. মুশফিকুর রহমান হলেও, পরিবার পরিজনসহ এলাকার সকলেই তাকে হিমু নামে ডাকেন।

ওসি মো. মুশফিকুর রহমান ইউএনও মহোদয়ের সাথে সাক্ষাতে আলাপকালে জানান যে, নকলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, জুয়া খেলা, বেদখল, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক অপরাধ থেকে নকলা উপজেলাবাসীকে নিরাপদ রাখবেন। তাছাড়া যেকোন গুজব প্রতিরোধে, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলকরাসহ করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমণরোধে বিভিন্ন মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং এর কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিকরা তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন- পুলিশি সেবা জনগনের নিকটে পৌঁছে দিয়ে তাদের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলার মাধ্যমে প্রমান করতে চাই যে, ‘পুলিশ জনগনের সেবক, সেবাই পুলিশের ধর্ম’, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ।’ তবে এর জন্য উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকসহ সব পেশা-শ্রেণীর জনগনের সহযোগিতা অতিজরুরি বলে তিনি মনে করেন।