শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা পৌরসভার জালালপুর এলাকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসতে বিলম্ব করায় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এমতাবস্থায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন পাইস্কা মোড় দিয়ে গড়েরগাঁও মোড় হয়ে নকলা-শেরপুর পাইপাস সড়কদিয়ে চলাচল করে। তবে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কে স্থানীয় যানবাহন দ্বারা বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের দাবী, এ অগ্নিকান্ডে ৭টি বসত ঘর, ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও নকলা পৌর সভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটনের বক্তব্যে নকলায় স্থাপিত প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার আশ্বাসে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের সহায়তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন শাহসহ অগণিত স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা ধারনা করছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তারা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে নকলা বিদ্যুৎ অফিসে মোবাইলের মাধ্যমে জানালে তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করা হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে আসতে বিলম্ব করায় বিক্ষোব্ধ জনতা ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে আসে বলে ক্ষতিহগ্রস্থ পরিবারের অনেকে অভিযোগ করেন। প্রায় দেড়যুগ আগে নকলায় স্থাপিত প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়া ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রটি চালু থাকলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হতো না বলে দাবী স্থানীয়দের।