শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ভোটের আয়োজন করার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার। আজ ৩ ডিসেম্বর সকালে শহরের বটতলা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি গত ২৮ নভেম্বর প্রেরিত এক পত্রে তৃণমূল ছাড়া জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতাদের পরামর্শে কমপক্ষে ৩ জনের প্যানেল প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে শেরপুর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে তৃণমূলের ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তিনি লিখিতভাবে তৃণমূলের ভোট বর্জন করেছেন। তবে তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান, জনসম্পৃক্ততা ও ত্যাগের প্রশ্নে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে এখনও আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোতেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, জেলাস্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাটসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, আমরা জেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে ৫জন প্রার্থীকে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন সমঝোতা না হওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকল বিতর্ক এড়াতে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে ৫ মনোয়ন প্রত্যাশীর ভোটের ক্রমানুসারে নাম কেন্দ্রে পাঠাবো। স্বচ্ছতার সাথে সবকিছু করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিতর্ক করার কোন সুযোগ নেই।