শেরপুর প্রতিনিধিঃ জেলার ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মেয়র পদে লড়াই করতে দলের নিজ বলয়ের সমর্থন নিয়ে মাঠে নামলেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সংগঠক ও শিক্ষানুরাগী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার।
সম্প্রতি, এক মতবিনিময় সভায় নিজ বলয়ের নেতারা তাকে ওই সমর্থন দেন। এর আগে নির্বাচনী তৎপরতার প্রথমভাগ থেকেই ডিজিটাল প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের এক সভায় দলের অপর ৪ নেতার সাথে তিনিও প্রার্থিতার আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিজ বলয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন এতদিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১ হুমায়ুন কবীর রুমান। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, জেলা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক আবুল হোসেন রাসেল, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সম্রাট প্রমুখ।
এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী।
এ ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার জানান, প্রথমতঃ সকল প্রকার প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়ন যুদ্ধে লড়াই করব। এরপরও বৃহৎ এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্খার জলাঞ্জলি হলে তাদেরকে নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তার মতে, তৃণমূলের নামে অর্থের লড়াই হওয়ায় সেটাকে এখন প্রার্থী নির্ধারণের বিতর্কিত পন্থা বলেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তবে স্বচ্ছতা ফেরানো গেলে তৃণমূলেও কোন ভয় নেই- এমন দাবি করেন তিনি।