ads
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

শ্রীবরদী’র ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৫ বার পঠিত

দীর্ঘদিন যাবত নানা অনিয়ম আর অবহেলার কারণে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ক্রমশ ভেঙে পড়ছে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো। বেহাত হচ্ছে ভূ-সম্পত্তি। হ-য-ব-র-ল হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রশাসনের সাথে কথা হলে ওঠে আসে এসব তথ্য।

জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৮ সনে। ওই বিদ্যালয়ের ভূমির পরিমান প্রায় ৫ একর। এর মধ্যে বাউন্ডারিসহ বিদ্যালয় ভবন প্রায় দেড় একর। অবশিষ্ট ভূমিতে বিশাল খেলার মাঠ ও কাঠের বাগান। এছাড়াও ঝগড়ারচর বাজারের অভ্যন্তরেও রয়েছে এই বিদ্যালয়ের সম্পত্তি। প্রায় এক যুগ আগেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩ থেকে ৪শ শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি’র দায়িত্বে থাকা দাতা সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক শাজাহান। ওই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাজাহানের বড় ভাই ছামিউল হক ফারুকি। তিনি অবসরে গেলে প্রায় ৫ বছর যাবত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব করছেন মাহফুজুল হক। তবে সহকারি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে শাহজাহানের ছেলে জাকির হোসেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদারকি’র অভাব আর নানা অনিয়মের কারণে ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে অফিস কক্ষসহ শ্রেণী কক্ষগুলো। বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ও খেলার মাঠ দখল করে দোকানপাট স্থাপন করেছে স্থানীয়রা। এতে ক্রমশ সংকোচিত হচ্ছে খেলার মাঠ। বেহাত হচ্ছে বিদ্যালয়ের ভূমি। এসব দোকান পাট থেকে আদায় হচ্ছে মাসিক ও বাৎসরিক অর্থ। তবে নেই কোনো হিসাব নিকাশ। বিদ্যালয়ের অর্জিত আয় ব্যাংকে লেনদেন করার নিয়ম থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন চিত্র। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের অর্থে নিজস্ব জমিতে সৃজিত বাগানের অধিকাংশ বৃক্ষ এখন আর নেই।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক বলেন, বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের হিসাব নিকাশ আমার কাছে নেই। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে একাধিকবার ম্যানেজিং কমিটিকে অবগতি করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হামিদুল হক শাজাহান বলেন, এখানে অর্জিত আয়-ব্যায়ের হিসাব নিকাশ প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী সকল হিসাব সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের। তিনি কি করেছেন, তিনি ভাল বলতে পারবেন। এসব নানা অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আলম তালুকদার বলেন, আমি কয়েকবার বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি। তবে লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫২
  • ১১:৫৮
  • ১৬:৩৩
  • ১৮:৪০
  • ২০:০৩
  • ৫:১৩
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102