পটুয়াখালীর ঐতিহ্যবাহি টাউনহলের বারান্দায় অবৈধভাবে স্টল নির্মাণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী কর্তৃক দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হবার ঘটনায় সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি চিন্ময় কর্মকার বাদী হয়ে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও যুবদলের সহ সভাপতি আকরাম শিকদার ও ব্যবসায়ী লিকন গাজীসহ অজ্ঞাত নাম আরো ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রিটি করেন।
এর আগে ওই জরুরি সভায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।
এদিকে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় স্থানীয় শহীদ স্মৃতি পাঠাগারে শহরের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সেখানে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে টাউনহল রক্ষায় দুর্বার আন্দোলনে নামার অঙ্গীকার করা হয়।
অপরদিকে, শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় সাংবাদিক লাঞ্ছিতের সংবাদ প্রকাশ পেলে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি বিচার বিভাগসহ সব প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিচার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে এসে টাউন হলের বারান্দার নবনির্মিত দেয়াল ভাঙার নির্দেশ দেন। পরে স্টলের জন্য তৈরিকৃত দেয়ালগুলো ভাঙা হয়।
উল্লেখ্য, টাউন হলের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্টল নির্মাণের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে স্থানীয় ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ওই কর্মসূচি শেষে মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি চিন্ময় কর্মকার ও বাংলাভিশনের প্রতিনিধি কেএম শাহাদৎ হোসেন টাউনহলের ভিডিও ধারণ করতে যায়। সেখানে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী ও যুবদলের সহ সভাপতি আকরাম শিকদার ও ব্যবসায়ী লিকন গাজী ওই দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। তাদের ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেয় এবং উল্টো স্থানীয় অন্য ব্যবসায়ীদের দিয়ে ওই দুই সাংবাদিকের ভিডিও ধারণ করে রাখে। এসময় তারা সাংবাদিকদের সম্পর্কে নানা কটূক্তি করে।