নুরের ওপর হামলার ঘটনায় ফখরুলের বিবৃতি, যা বললেন
অচিরেই সরকারের পতন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার মতিঝিলে যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলা এবং নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যুব অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা প্রদান, লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ এবং ছাত্রলীগ ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। পুলিশ ও ছাত্রলীগের এই বর্বরোচিত হামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এই হামলা প্রমাণ করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কতটা নির্মম, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১২ বছরে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন সংগ্রাম দমন করতে তারা একই কায়দায় দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। স্বাধীন দেশে যে কোনো বিষয়ে কর্মসূচি পালন করার অধিকার সব নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান অবৈধ ভোটারবিহীন সরকার জনগণের সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে।
ফখরুল বলেন, দেশে এখন বর্তমান আওয়ামী সরকারের আদিম হিংস্রতা শুরু হয়েছে। আতঙ্ক ও ভয়ের পরিবেশ চারিদিকে বিরাজমান। জনপদে জনপদে বর্তমান সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও নিপীড়ন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সরকার তাদের অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী কার্যকলাপের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের অনৈতিক ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দমন-পীড়নসহ নানা নির্মমতার আশ্রয় নিচ্ছে, জনগণের রক্তে হাত রঞ্জিত করতে তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছে না। তবে অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচারই জনগণের অধিকারের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে জনগণের অধিকার বিলুপ্ত করতে সক্ষম হবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
#যুগান্তর