চার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়া সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী মো. ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী হিসাবরক্ষক রেহেনা বেগমের অবৈধ সম্পদ, অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় (স্বাস্থ্য) পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে এসে তদন্ত শুরু করেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহামন সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে এসে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহামন সাংবাদিকদের জানান, একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত তিনি তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না।
গত জুন মাসে সুনামগঞ্জ শহরের ৩২ জন সচেতন ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ডাকযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়। সেখানে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাবরক্ষক মো. ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। যার অনুলিপি দেয়া হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশিনার, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন, সিলেট দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী ইকবাল গত ১২ বছর ধরে একই কর্মস্থলে থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন বাজেট ও খাতের বরাদ্দ নিয়ম বহির্ভূতভাবে আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।