কুমিল্লা সদরে যুবলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকাল ৯টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে সকাল ৭টায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারার বাড়ি থেকে ছেলেকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় চৌয়ারা পুরাতন সড়কে অস্ত্রধারী মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা উপর্যপরি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। এসময় তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।
নিহত জিল্লুর রহমান গোলাম জিলানী সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারার বাসিন্দা। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তিনি যুবলীগের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত-ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি মোটরসাইকেলে আসা কিছু লোক তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। এসময় সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।
পরে গুরুতর অবস্থায় জিল্লুর রহমানকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম-উল আহসান বলেন, আমরা নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা নিশ্চিত হতে চেষ্টা করছি।
নিহত জিল্লুর রহমানের স্ত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের চাচা অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ২৭তম ওয়ার্ডের হাসানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ রাজনৈতিক নানা বিরোধ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র তাকে টার্গেট করে। অভ্যন্তরীণ এসব বিষয় নিয়েই তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।