দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম করিডোর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে। বহরের ১৭টি ফেরির মধ্যে ১১ টি ফেরি চলাচল করছে। আর গেলো কয়েকদিন ধরে রাতেও চলছে ৯ টি ফেরি।
এভাবে বিরামহীন এ নৌ-রুটে ফেরী চলাচল করায় যানজট হ্রাস পাচ্ছে, কমছে দুর্ভোগ। বিলীন হয়ে যাওয়া ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট চালুর পর ঘাট সঙ্কটও কিছুটা কমেছে। তবে হুমকির মুখে থাকা ২ নম্বর ঘাট রক্ষা এবং ৪ নম্বর ঘাট নতুনভাবে চালুরও চেষ্টা চলছে।
বিআইডবিউটিসি জানান, প্রায় দু’মাস ধরে নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। সাথে নব্য সংকট এবং চ্যানেলের সমস্যাও ছিল। এতে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধও রাখা হয়। নদী ভাঙনে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নং রো রো ও ৪ নং ভিআইপি ফেরি ঘাট দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ৩ নং রো রো ফেরি ঘাটটি পুনরায় স্থাপন করায় এখন অনেকটাই কেটে গেছে অচলাবস্থা।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরেই নদীতে স্রোতের মাত্রা কমে এসেছে। এ জন্য এ নৌ-রুটে ফেরীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বর্তমানে ৩ টি রো রো শাহ পরান, বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, এনায়েতপুরী, ৪ টি কে টাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া, কলমীলতা, কিশোরী, কাকলী, ২টি ঠেলা বা ড্রাম ফেরি লেটিং, যমুনা ও ছোট ফেরি ফরিদপুর ও কুমিল্লাসহ মোট ১১ টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌ-রুটে। তবে রাতের বেলায় ২ টি ঠেলা ফেরি ছাড়া ৯ টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে, গত দুদিন ধরেই বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ নৌ-রুটের পদ্মা উত্তাল রয়েছে। এ নৌ-রুটের যাত্রীবাহী ৮৭ টি লঞ্চ ও প্রায় তিন শতাধিক সি-বোট ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ঝুঁকি থাকলেও কর্তৃপক্ষকে কোনোরূপ ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এদিকে, এই বহর থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া দু’টি ফেরি এখনও এই বহরে যুক্ত হয়নি। এই দু’টি ফেরি এই বহরে যুক্ত হলে সমস্যা আরও কাটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।