পূরণ হলো না শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন। রাজধানীর ভাটারায় বেপরোয়া পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্রী রাদিয়া নিতির। এমন করুণ পরিণতিতে স্তব্ধ স্বজন ও বন্ধুরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্বপ্ন ছিল বড় শিল্পী হবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পেইন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রাদিয়া নিতি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিদেশে পড়তে যাওয়ার।
বাবা মায়ের বুকফাটা কান্নায় ঝরে পড়ছে অধরা স্বপ্ন। বড় বোনকে হারিয়ে অসহায় ছোট দুই ভাই-বোন।
নিহত রাদিয়া নিতির বাবা রেজাউল করিম ফরাজী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ২০ বছরের সাধনা আমার মা। আমার মা ফ্রান্সে যাবে ডিসেম্বরে, আমার মার কত স্বপ্ন।’
এমন উজ্জ্বল প্রাণের করুণ পরিণতির কারণ বেপরোয়া পিকআপ। সোমবার খণ্ডকালীন চাকরি শেষে রাজধানীর ভাটারায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন নিতি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাটারা থানার সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বেপরোয়া এক পিকআপ ধাক্কা দেয় তাকে।
সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ পিকআপ এবং চালককে আটক করলেও বাঁচাতে পারেননি নিতিকে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে তাকে নেয়া হয় কুর্মিটোলা মেডিকেল হাসপাতালে। কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও বন্ধুরা।