হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা আহমদ শফীর মৃত্যুর খবরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে তার সমর্থক, ভক্ত আলেম ও মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। সেখান থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের একজন নেতা এ কথা জানান।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ছয়টার দিকে আহমদ শফীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে থাকেন তার সমর্থকরা। ঢাকার আলেমরাও তার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক আলেম জানান, আহমদ শফীর মৃত্যুর পর ঢাকার কিছু মাদ্রাসার আলেম, ছাত্র ও ইমাম তার মৃত্যুর জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসার গত তিনদিনের বিক্ষোভকে দায়ী করেন। যদিও কোনও কোনও আলেম বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কোনও মত প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত কোনও কোনও সমর্থক আহমদ শফীকে জাতীয়ভাবে জানাজা ও দাফনের দাবি করেন। এছাড়া কেউ কেউ জানাজায় হেফাজত মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী যেন অংশগ্রহণ না করেন, সেই দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে বলে জানান একাধিক আলেম।
উল্লেখ্য, ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তাকে মজলিসে শূরা সদরে মুহতামিম পদ দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া ছাত্রদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয়বারের মতো মাদ্রাসার মজলিশে শূরা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া তার পুত্র আনাস মাদানীকেও মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় ওই বৈঠকে।
এদিকে, আজগর আলী হাসপাতালের পরিচালক (মেডিক্যাল সার্ভিস) ফারাহ নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তার ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী বাবার মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। হাসপাতাল থেকে এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা সম্ভব হবে না।’