বলিউডে এখন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেতা অক্ষয় কুমার। কারণ অক্ষয় কুমারের ছবি মানেই বক্স অফিস হিট। তার রয়েছে কোটি ভক্ত।
এদিকে শোবিজে মিটু আন্দোলনে দুনিয়া তোলপাড় হয়েছে। বড় বড় সব তারকাদের নাম এসেছে এই অভিযোগের তালিকায়। সেখানে বলিউড থেকে আছেন অমিতাভ বচ্চনের মতো তারকাও। তবে শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।
এদিকে আনন্দবাজার ডিজিটাল এক ফটোফিচারে জানালো, বলিউডে বর্তমান সময়ে তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন তারকাদের বিরুদ্ধে নানা রকম মন্তব্য করে লাইমলাইটে থাকা কমল আর খান ওরফে কেআরকে।
বছর দুই আগে সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে এক মন্তব্য করে বসেন তিনি। সেখানে তিনি দাবি করেন, অক্ষয়ের বিরুদ্ধে নায়িকা অদিতি রাও হায়দারি মিটু আন্দোলনের সময় একটি টুইট করেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন কাজ করতে গিয়ে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন। কারো নাম না করে তিনি অক্ষয়কেই ইঙ্গিত করেছিলেন বলে দাবি কেআরকে’র।
প্রথমে সরাসরি নাম না নিয়ে এবং পরে সরাসরি নাম করেই টুইট করেছিলেন কেআরকে। বিষয়টি এমন ছিল, অভিনেত্রী অদিতি রাওয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন অক্ষয় এবং তা নাকি মোটা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছেন তার স্ত্রী টুইঙ্কল।
অদিতির সঙ্গে ‘বস’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন অক্ষয়। এর পর আরো দু’টি ছবিতে তাদের একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সে সময় সেই অন্য দু’টি ছবি আর মুক্তি পায়নি। ঠিক কী কারণে সেগুলো মুক্তি পেল না, তা জানা যায়নি তখন।
পরে মিটু আন্দোলনের সময় অদিতির কিছু টুইট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। নাম না নিয়েই মিটু তিরে অক্ষয়কে বিদ্ধ করেন অদিতি।
২০১৮ সালে বলিউডে মিটু আন্দোলন আসে। যার সুত্রপাত করেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। এমন এক আন্দোলনে মহিলাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পারেননি টুইঙ্কল খন্না। তিনি টুইট করেন, কী অন্যায় তাদের সঙ্গে হচ্ছে, নারীদের এবার চিৎকার করে জানাতে হবে।
ঠিক তার পরের দিনই অদিতি একটি টুইট রিটুইট করেন। সেই টুইটের বিষয়বস্তু এমন ছিল, যারা খুব ভালো করেই জানেন তাদের স্বামীরা যৌন হেনস্থা করে থাকেন, সেই তারাই আবার নির্লজ্জের মতো মিটু নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন। এর থেকে নিজেদের স্বামীর উপর নজর রাখুন।
টুইটটি যে টুইঙ্কলের উদ্দেশে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোর। এরপর দিন আবার অক্ষয় মিটু আন্দোলনকে সমর্থন জানান। এক টুইটে তিনি লেখেন, যতদিন না তদন্তের ফল জানা যায়, আমি এমন কারোর সঙ্গে কাজ করতে চাই না যিনি যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত।
সে সময় সাজিদ খানের ছবি ‘হাউসফুল ৪’-এ কাজ করছিলেন তিনি এবং সাজিদ ছিলেন অভিযুক্ত। অক্ষয়ের এই টুইট সামনে আসার পর দিন ফের অদিতি রাও একটি টুইট করেন। এই টুইটেও নাম না নিয়ে অক্ষয়কে আক্রমণ করেন তিনি।
এর কিছু দিন পর থেকেই তোলপাড় হতে শুরু করে মিডিয়ায়। নাম না নিলেও কাদের উদ্দেশে অদিতি এমন টুইট করছেন, তা খোলসা করতে শুরু করে গণমাধ্যম।
বলিউডে গুঞ্জন যখন তুঙ্গে, এমন সময় আসরে নামেন টুইঙ্কল স্বয়ং। স্বামীর উপর মিটু অভিযোগ যাতে না আসে তার জন্য নাকি পরিকল্পনা করেন তিনি। টাকা দিয়ে নাকি মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে দেন।
তখন শোনা গিয়েছিল, অদিতির মুখ বন্ধ রাখার জন্য নাকি তার বাড়িতে ১০ কোটি টাকার চেক পৌঁছে গিয়েছিল।
এমনকি এও শোনা গিয়েছিল যে, বড় বড় মিডিয়া হাউসগুলোতেও পৌঁছে দেয়া হয়েছিল কোটি কোটি টাকার চেক। তাই আচমকাই কয়েক দিন পর থেকে এই সমস্ত টুইট নিয়ে চর্চা বন্ধ হয়ে যায়।
ঠিক কী হয়েছিল? অক্ষয় সত্যিই অভিযুক্ত ছিলেন কি না তা আজো স্পষ্ট নয়, তবে টুইট এবং রিটুইটগুলোকে জুড়লে অভিযোগের তির এই বলি সুপারস্টারের দিকেই যায়।