জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় সে কাজটা পার্লামেন্টের মাধ্যমে আমি করছি। হতে পারি আমরা সংখ্যায় কম। বিরোধীদলে সংখ্যায় ৫০ বা ৬০ জন হলে কি হবে, যদি কথা বলতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর সময় ২৯২ সংসদ সদস্যদের বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো একজনই কাঁপিয়ে রাখত। তাই বিরোধীদলে সংখ্যাটা বড় নয়, কথা বলাটা বড়। কথা বলতে পারলে দুই-চার-পাঁচজনেই যথেষ্ট। তাই আমার ওপর আস্থা রাখেন, পাঁচটা বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না। সরকারকে জনগণের পক্ষে যা-তা বলার সুযোগ দেব না।
শনিবার বিকালে পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য শফিউল আলম জনির দেওয়া উপজেলাবাসীর জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুল হক বলেন, বিদ্যুতের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছে, কেন দিল, কেন বিদ্যুৎ নাই- এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাবাব দিতে বাধ্য করেছি এবং আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন।
করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মুসলেহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, সমাজসেবক রফিকুর রহমান রফিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি প্রমুখ।