সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে মির্জা আজমের ৬০টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৭২৫ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার টাকা জমা ও ৭২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার বিরুদ্ধে অর্ধ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মির্জা আজমের স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া আজমের ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা জমা ও ১৭৯ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
এছাড়া, মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৩টি হিসাবের বিপরীতে এফডিআর হিসেবে ৭০ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৫ টাকা পাওয়া গেছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
পলক তার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা ও ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। অপরদিকে তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের নামে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৩৩ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ পাওয়া যায়। তার নামে ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৭৯ টাকা জমা এবং ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৭ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২২ আগস্ট পলকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হত্যার অভিযোগে গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক।