শুধু জাতীয় পার্টি না, আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা রাখি। আমার সেই কনফিডেন্স আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
বিদিশা বলেন, আমি জাতীয় পার্টির সাকসেসফুল প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলাম ২০০৫ সাল পর্যন্ত। যখন আমি জেলে যাই, তখন আমার পদ স্থগিত করা হলো। আমার জনপ্রিয়তা কিন্তু কমেনি। পার্টির কোনো আসনে (পদে) আমি বসব তা রংপুর বলেন, উত্তরবঙ্গ বলেন আর দেশের মানুষ বলেন- তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি চেয়ারম্যান হবো নাকি প্রেসিডিয়াম সদস্য হবো- এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। পার্টির নেতা-কর্মীরা নেবে। শুধু বলবো, আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা রাখি, শুধু জাতীয় পার্টি না। আমার সেই কনফিডেন্স আছে।
দেশের জনগণ ও নেতাকর্মীরা চাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে আমার সন্তানের (এরিক এরশাদ) বাবার পার্টি। রংপুর তথা দেশের মানুষ বিশেষ করে নেতাকর্মীরা চাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাই। উত্তরাধিকার সূত্রে কিন্তু পার্টির চেয়ারম্যান তার সন্তান বা স্ত্রীরাই হবেন। ভাই কখনো উত্তরাধিকার হয় না। আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়াতে ভাইয়েরা কখনো (উত্তরাধিকার) হয় না। আর যিনি এখন হয়েছেন (জিএম কাদের) উনি তো অবৈধ চেয়ারম্যান। তার নামে কোর্টে রিট করা আছে। এটার এখনো ফয়সালা হয়নি। তবে, ফায়সালা হলে তাকে (চেয়ারম্যান হিসেবে) মেনে নেব।
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যানের পরিবর্তন বিষয়ে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, আমি চাইলে তো হবে না। যদি পার্টির নেতাকর্মীরা চায়, তৃণমূলের মানুষজন চায় তাহলে অবশ্যই।
রওশন এরশাদের বিষয়ে তিনি জানান, পার্টিতে নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে। ইয়ং জেনারেশন আসতে হবে। স্পেসিফিক বলবো না যে, রওশন এরশাদ খারাপ, বিদিশা ভালো। ম্যাডামের যখন পার্টিকে বা দেশকে দেয়ার ছিল, উনি তখন দিয়েছেন। উনি বিরোধী দলের নেতা, দেশের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। বয়সটা তখন ছিল। এখন আমাদের সুযোগ আসলে আমরা করবো, এটাই স্বাভাবিক। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
১৯৯৮ সালে একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এরশাদ ও বিদিশা সিদ্দিক। তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান এরিক এরশাদ। ২০০৫ সালে এরশাদ-বিদিশার ছাড়াছাড়ি হয়। মোবাইল চুরির একটি মামলায় জেলে যেতে হয় বিদিশাকে। জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়ামের পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রীয় ছিলেন বিদিশা। ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে।
এক বছর আগে (২০১৯ সালের ১৪ জুলাই) সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মৃত্যুবরণ করেন। কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক স্বামীর বাসায় ওঠেন বিদিশা। যেখানে এরশাদের সাথেই থাকতেন তাদের ছেলে এরিক এরশাদ।