ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এবার শাস্তি পেলেন গাজী গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আচরণবিধি ভাঙার জন্য তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ক্রিকেটারদের জরিমানা হচ্ছে কিন্তু থামছেই না ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক।
ঢাকার লিগে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং। এটা এখন নতুন মোড়কে বাসি খবর।
প্রায় প্রতিদিনই পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ মিলছে। সেটা বছরের পর বছর ধরেই। সেটা এবার জোরেসোর সবার নজর কাড়লো সাকিব কান্ডের কারণে।
সাকিবের পর আবারো মাঠে অদ্ভূত আচরণ পঞ্চ পান্ডবেরই আরেক জনের। দেশ সেরা ক্রিকেটারের মতো লাথি মেরে উইকেট ভাঙেননি। আবার উইকেট উপড়েও ফেলেননি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ যেটা করলেন সেটাওতো ক্রিকেটীয় আচরণ নয়, বরং শিশুসুলভ।
প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যান অলক কাপালির বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করেছিলেন গাজী গ্রুপের ক্যাপ্টেন। সাড়া না পেয়ে মিড অন থেকে ছুটে গেলেন পিচের কাছে। তারপর হাত-পা ছুড়ে আবারো আবেদন। এরপর দাঁড়ানো থেকে বসেই পড়লেন। দুহাত মাটিতে আছড়ে আবারো আবেদন। খানিক্ষণ বসে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে এ যেন প্রতীকি প্রতিবাদ।
রিয়াদের মতো ঠান্ডা মাথার একজন ক্রিকেটারের মাঠে এমন বিস্ময়কর আচরণ বড় বিস্ময় জাগায়।
শেষ পর্য্ত সাকিবের মতো রিয়াদেরও শাস্তি হলো। কোন ম্যাচে নিষিদ্ধ নয় তবে আর্থিক জরিমানা। রিয়াদ ভুল শিকার করেছেন। তাই প্রয়োজন হয়নি শুনানির। কিন্তু সাকিব, রিয়াদরা ভুল শিকার করলেই কি ভুলটা কেবল তাদের? এই দায় কি ড়াতে পারে বিসিবি? প্রশ্ন ওঠে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঠিকঠাক কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে ক্রিকেটারদের?