আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জেলা ও উপজেলায় কর্মসূচি দেবে গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার গুলশানে দলটির এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নেতারা এমন বার্তা দেন।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে স্থিতিশীল না করার জন্য শুরুতে দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে আন্দোলন না করতে আমরা নিষেধ করেছি। অনেককেই থামিয়েছি। কিন্তু সরকার এখন আমাদের কথা শুনছে না। তাই আমরা পরিষ্কার বলতে চাই ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের অর্ধকোটি ও নিহতদের ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি থাকে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার গঠন করে এ সংকট মোকাবিলা করুন।৪ মাসেও দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় সরকার ছাড়া এ সরকার ছয় মাসও টিকবে না।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদে বিপ্লবীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মরে যাওয়া আন্দোলনকে জীবিত করেছে। যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলন না হলে হাসিনার পতন হতো না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সর্বপ্রথম হল ছাড়া করেছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়িত হলো না। এটা কখনো বিপ্লবের চেতনা হতে পারে না।
আলোচনা সভায় মিজানুর রহমান ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান, মামুন, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, রাসেল ফকির প্রমুখ।